কিশোরগঞ্জের হাওরে ৫৬৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হবে উড়াল সড়ক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের হাওর মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে মিঠামইন সেনানিবাস সংযুক্ত করে করিমগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত হাওরের বুক চিরে ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা।

কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোরগঞ্জ সদর, করিমগঞ্জ, নিকলী ও মিঠামইন উপজেলা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উড়াল সড়ক প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য মিঠামইন সদর থেকে মিঠামইন সেনানিবাসকে সংযুক্ত করে করিমগঞ্জ পর্যন্ত হাওরের ওপর দিয়ে ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ। নাকভাঙ্গা মোড় থেকে মরিচখালী বাজার পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের মাধ্যমে ইটনা, নিকলী, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাসহ এর আশেপাশের হাওর এলাকার সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর এবং ঢাকা, সিলেট ও অন্যান্য জেলার সঙ্গে সরাসরি ও নিরবচ্ছিন্ন সব আবহাওয়ায় চলাচলের জন্য উপযোগী সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা।

একনেক সভা জানানো হয়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতির যুগে একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী ও দক্ষ পরিবহন সেবা প্রধানতম নির্ধারক হিসেবে কাজ করে। একটি দেশে অভ্যন্তরীণ ও বহির্বাণিজ্য এবং বিনিয়োগপ্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এ প্রতিযোগী সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে আঞ্চলিক উন্নয়নের ধরন ও দারিদ্র্যের স্থানীয়করণের ক্ষেত্রেও দক্ষ পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাপক প্রভাব রাখে।

সভায় বলা হয়, হাওর এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ডেল্টাপ্যানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হাওর এলাকায় আকস্মিক বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় অ্যাটগ্রেড সড়কের পরিবর্তে উড়াল সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।