ঢাকা, রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

আগ্রহ বাড়ছে ক্যাপসিকাম চাষে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২০, ২০ জানুয়ারি ২০২৪  

আগ্রহ বাড়ছে ক্যাপসিকাম চাষে

আগ্রহ বাড়ছে ক্যাপসিকাম চাষে

দেশের বাজারে লাল, সবুজ ও হলুদ এই তিন রঙের ক্যাপসিকাম পাওয়া যায়। যা সালাদ হিসেবে খাবারে বাড়তি স্বাদ ও বাহার যোগ করে। বিদেশি এ সবজিটির রয়েছে নানা স্বস্থ্য উপকারিতা। এ কারণে দেশের বাজারে দিনদিন কদর বাড়ছে ক্যাপসিকামের।বর্তমানে বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ক্যাপসিকাম। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় বাগেরহাটের কচুয়ায়ও শুরু হয়েছে এর বাণিজ্যিক চাষ।

সরেজমিনে কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় কৃষক এহসানুল কবিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা নিয়ে নিজের ২০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করি। গত ৮ মাস আগে জমি তৈরি করে রোপণ করি উচ্চ ফলনশীল ইয়েলোহট জাতের ক্যাপসিকাম। যা থেকে ভালো ফলন পাচ্ছি আমি।

তিনি বলেন, ২ শ থেকে ৪ শ গ্রাম পর্যন্ত হচ্ছে প্রতিটি ক্যাপসিকামের ওজন। প্রতিটি গাছ থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত ক্যাপসিকাম পাওয়ার আশা করছি। বর্তমানে আমার ক্ষেত থেকে পাইকার ব্যবসায়ীরা ১৫০ টাকা কেজি প্রতি ক্যাপসিকাম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

এহসানুল কবিরের বাবা আসাদুল বালি বলেন, আমাদের এলাকায় এই ফলের চাষ কখনও দেখিনি। আমার ছেলেই প্রথম চাষ শুরু করেছে। শুধুমাত্র খৈল ভিজানো পানি ও কিছু জৈব সার দিয়ে গাছ তৈরি করেছি আমি ও আমার ছেলে। ফলনও মাশাআল্লাহ খুব ভালো হয়েছে। এক একটি ফলের সাইজ আধা কেজি পর্যন্ত হয়েছে। আমাদের আশপাশের অনেকেই এখন এই মিষ্টি মরিচ চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

কাঠালিয়া গ্রামের কৃষক আলামিন শেখ বলেন, আমাদের এলাকায় এই প্রথম দেখলাম মিষ্টি মরিচ বা ক্যাপসিকামের চাষ। কবির ভাই ফসলটি চাষ করেছেন। সে ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দামও পাচ্ছেন। আমিও তার দেখাদেখি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।

কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, কচুয়া উপজেলা মাটি ও আবহওয়া ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযোগী। ভালো মূল্য পাওয়ায় চাষটি ছড়িয়ে দিতে পারলে আমদানি নির্ভরতা কমার পাশাপাশি কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভোবান হবে।

কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মামুনূর রশিদ বলেন, ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি লাভজনক ফসল। দেশের বাজারে এর ভালো দাম পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, কচুয়া উপজেলা মাটি ও আবহওয়া ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযোগী। ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় আমরা কৃষকদেরকে উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে ক্যাপসিকামের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

মামুনূর রশিদ বলেন, ইতোমধ্যে এহসানুল কবির নামের এক কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকামের চাষ শুরু করেছেন। আমরা আশা করছি আগামীতে কচুয়ায় আরও বড় পরিসরে ক্যাপসিকামের চাষ হবে।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়