ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

বাড়তি উপার্জনে মোবাইল প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ২ মে ২০২৪  

বাড়তি উপার্জনে মোবাইল প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ

বাড়তি উপার্জনে মোবাইল প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ

বাড়তি উপার্জনে মোবাইল প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ। মোবাইল প্রযুক্তি বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে। টেলিনর এশিয়ার ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড শিরোনামে প্রকাশিত জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা, ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বাড়তি উপার্জনে মোবাইল প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ।

জরিপে জানানো হয়েছে, এশিয়াজুড়ে আট হাজার মানুষ সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১০ জনের মধ্যে প্রায় ছয়জনই দিনের অর্ধেকেরও বেশি সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন। 

একই সঙ্গে ৬২ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে এক-দুই বছরের মধ্যে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার আরো বাড়বে।

মূলত কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনেই (৭৫ শতাংশ) মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে। এর পরেই কারণ হিসেবে রয়েছে দৈনন্দিন কেনাকাটা, রিটেইল ও ব্যাংকিংয়ের মতো অনলাইন সেবা গ্রহণ (৬৭ শতাংশ)।

সমীক্ষায় আরো উঠে আসে যে ৯৬ শতাংশ মানুষের মতে, মোবাইল ফোন তাদের কর্মক্ষেত্র ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যকে উন্নত করেছে।

টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব এক্সটার্নাল রিলেশনস মনীষা ডোগরা বলেন, মোবাইল প্রযুক্তি বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে এবং মানসম্মত ডিজিটাল জীবনধারার জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠছে। আমাদের ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশের মানুষ মোবাইল সংযোগের প্রভাব সম্পর্কে যথেষ্ট ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন এবং নতুন সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।

সমীক্ষায় মোবাইল ফোন ও মোবাইল প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আশ্চর্যজনকভাবে ৯৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলছেন, গত পাঁচ বছরে কর্মক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা এবং কাজের মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। আর ৮২ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার ও অনলাইন পরামর্শদাতারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন বলে জরিপে বলা হয়েছে। প্রতি ১০ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ছয়জনই অনলাইনে এ ধরনের সেবা প্রদানের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন।

সমীক্ষায় আরো প্রকাশ করা হয়, বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো জেনারেটিভ এআইয়ের মতো নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশের অভিমত, তারা যে কোম্পানিতে কাজ করেন সে কোম্পানিগুলো নতুন প্রযুক্তি এবং জেনারেটিভ এআই ব্যবহারকে সমর্থন করেন এবং প্রায় অর্ধেক (৪৭ শতাংশ) বিশ্বাস করেন যে আগামী ছয় মাসে জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার বাড়বে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়