কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান সিন্ধুকে পাওয়া গেল নারীর চিরকুট

অনলাইন ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:৪৩ এএম, ৭ মে ২০২৩ রোববার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে ১৯ বস্তা  টাকার সঙ্গে পাওয়া গেছে একটি চিরকুট। দানবাক্স থেকে পাওয়া ১৯ বস্তা টাকা গণনায় এরইমধ্যে পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে টাকা গণনা করা হয়। সিন্দুকের টাকার সঙ্গে পাওয়া একটি চিরকুট লিখেছেন পারভীন নামে এক নারী। 

ধারণা করা হচ্ছে, এবার ছয় কোটির মতো টাকা পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রাসহ স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গেছে।

ওই চিরকুটে পারভীন লিখেন, ‘আমার নাম পারভীন। আমার শরীর অনেক অসুস্থ। আমার পাগলা বাবার মসজিদে আসার অনেক ইচ্ছা ছিল, আসতে পারলাম না। পাগলা বাবার মসজিদে আমার আরজি যে, আমার ছেলে-মেয়েকে যেন ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারি। আমার শরীরে অনেক ব্যথা, আমি চলতে পারি না। আমার কিডনি সমস্যাও আছে। আমি পাগলা বাবার কাছে এই দোয়া চাই যেন, আমার এই সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যায়। তাহলে আমি পাগলা বাবার মসজিদের দানবাক্সে দুই হাজার টাকা দিবো। আর আমি যদি ভালো থাকি, তাহলে আমি নিজেই আসবো। আমি তো শুনি, পাগলা বাবার কাছে যে আসে সবার মনের আশা পূরণ হয়। আমার আশাগুলো যেন পূরণ হয়। আমিন।’

জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।

জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।

কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা এমনকী দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকী বৈদেশিক মুদ্রাও দান করেন।